কিছু খেয়াল
আজ অনেকদিন পর এই ব্লগ লিখছি। বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালই আছো।
যাই হোক আজ আমি কিছু অনুভুতি শেয়ার করতে চাই ।
গতকাল ফালুদার দ্বিতীয় খণ্ডের শুটিং কমপ্লিট করে বেশ সিরিয়াস মুহূর্তে গাঁজা টান মারলাম, ভুলেই
গিয়েছিলাম যে আমি একটা বেকার...... সামনে আমার গেট নামক একটা ভবিষ্যতের দরজা ঝুলে আছে,
হ্যাঁ আমি গেট পরীক্ষার কথা বলছি, যেটা আমাকে আমার লক্ষ্য বা স্বপ্ন-এ পৌঁছে দেবে। স্বপ্ন তো বলছি
কিন্তু সেটা যে কতটা ঘোলাটে সেটা আমি নিজেই বুঝতে পারি না। এম.টেক করে আমি শিক্ষকতা করতে
চাই। এই চাওয়াটা ভুলে যাই কিছু নিজ গুণে নুন ছেটাতে গিয়ে।আমার স্ক্রিপ্ট -এর ভাষায়
" হঠাৎ একটা স্বপ্ন। ফ্ল্যাশ।তারপর রোজ রোজ। মনে হতে লাগলো - আমি কেন দেখি? ওরা কেন দেখে না?
আমি পারি। ওরা পারে না। তাই একদিন নিজে রাইট হয়ে রংগ-দের নিয়ে ৮০% (হেলিকপ্টার-এর মৃত অংশ) খোঁজ না করেই ওড়াতে চললাম । আজ হঠাৎ ওই ২০% চোখে পড়লো।"
আজ অনেকদিন পর মাথাটা নিচু করে জমি থেকে চোখের আন্দাজে উচ্চতা মাপলাম। ছোটবেলায় যখন সন্ধ্যেবেলায় ভয় নিয়ে মাঠ থেকে ক্রিকেট খেলে ঘরে ফিরতাম, তখন রাস্তায় এরকম মাপতাম আর দেখতাম কত বড় হয়েছি। হয়তো তফাতটা বুঝতাম না বলেই বাবা-র কাছে বকুনি খেতাম। আজও বেশ কয়েক বছর পর দেখলাম উচ্চতা বাড়েনি । আজ এটা বুঝি যে চোখটা আমার তাই রোজের বড় হওয়াটা তার কাছে উপেক্ষণীয়। তাই তফাত না বোঝাতে বকুনি খাই নি হয়তো কিন্তু মাথা নিছু করে এটা মেনে নিয়েছি যে নিজের উচ্চতা নিজের মত করে দেখে স্বপ্নকে ধরা যায় না, নিজের ছায়ার মত নিজেকেই গণ্ডি করে থাকতে হয়। আমি বড় হইনি, অন্তত নিজেকে যেমন ভাবি তেমন তো নয়-ই।
পাশের দুর্বল মানুষের অক্ষমতার এডভান্টেজ তুলে সেগুলো শিখে মশিহা হয়ে উঠেছি ,ভাবতে শুরু করেছি স্ক্রিপ্ট, নিজের সাথে ওদেরও। ওরা বড় হয়ে গেছে আর আমি বাক্য দিয়ে চলেছি। আর আছে গভীর রাতে শেল্ফ-কাউন্সিলিং। আর কাউকে ভালবাসার কথা......... পরেই বলবো।
No comments:
Post a Comment